সখরিয়ার ভবিষ্যদ্বাণী পুরাতন নিয়মের শেষের দিকে লেখা হয়েছিল এবং মশীহের আগমনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঈশ্বরের লোকেদের জন্য এটি ছিল এক অন্ধকার ও কঠিন সময়, যারা আধ্যাত্মিকভাবে নিম্ন স্তরে ছিল। তারা সবেমাত্র ৭০ বছরের কঠিন বন্দিদশা থেকে ফিরে এসেছিল। ঈশ্বরের লোকেদের এই অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে ধৈর্যশীল হতে উৎসাহিত করার জন্য সখরিয়র আটটি দর্শন এবং অতিরিক্ত ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়া হয়েছিল। ঈশ্বর তাদেরকে মন্দির এবং জেরুশালেমের ভাঙা প্রাচীর পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সখরিয়র মাধ্যমে ঈশ্বর ভবিষ্যতের একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। এটি কেবল ২,৫০০ বছর আগে ইহুদিদের জন্যই খুব উৎসাহজনক ছিল না, বরং আজকের আমাদের জন্যও বটে। আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ এই পুস্তকটি ইহুদিদের ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসার আহ্বান জানায় এবং ঈশ্বর তাদের কাছে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দেন। এটি ঘোষণা করে যে ঈশ্বর সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আছেন। তিনি জাতিগুলিকে শাসন করছেন এবং তাঁর মণ্ডলীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ও উৎসাহব্যঞ্জক।
সম্প্রতি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, বাইবেল থেকে প্রচার করার জন্য আমার প্রিয় পুস্তক কোনটি। আমি উত্তর দিয়েছিলাম যে সখরিয়ের ভাববাণী। কেন এমন হবে? সখরিয় বাইবেলের একটি সুপরিচিত পুস্তক নয়। এতে কিছু অংশ রয়েছে যা ব্যাখ্যা করা কঠিন। এতে রয়েছে অদ্ভুত সব দর্শন। তবে, এই পুস্তকে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা স্পষ্ট এবং সহজেই বোধগম্য। এছাড়াও, সখরিয়ের এই ভাববাণী খ্রীষ্টকে নিয়ে পূর্ণ। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর জন্য খ্রীষ্টের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই - তাঁকে জানা, তাঁর উপর বিশ্বাস করা এবং তাঁকে ভালোবাসাই হল পরিত্রান লাভের উপায়। এবং একবার আমরা পরিত্রাণ পেয়ে গেলে, এটিই আমাদের জীবনের আবেগ হয়ে ওঠে।
প্রশিক্ষক