এই তৃতীয় মডিউলের মূল লক্ষ্য হল—বাইবেল মানুষ সম্পর্কে কী শেখায়, তা অনুসন্ধান করা। ঈশ্বর সম্বন্ধে বাইবেল যা প্রকাশ করে, তা আমাদের মানুষ সম্পর্কে সঠিক বোঝাপড়ার ভিত্তি গড়ে তোলে। মানুষ সবসময়ই নিজেকে বোঝার চেষ্টায় ব্যস্ত—তার উৎস, গঠন, পরিচয়, জীবনের উদ্দেশ্য, ভবিষ্যত গন্তব্য—এসব বিষয়ে উত্তর খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু মানুষের সত্যিকার জ্ঞান নিজের ভেতরেই পাওয়া যায় না। বরং এই জ্ঞান মেলে ঈশ্বরের বাণীতে, অর্থাৎ বাইবেলে যা তিনি প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে। তাই, যদি আপনি মানুষকে গভীরভাবে জানতে চান, তবে এই পাঠসমূহ আপনার জন্য উপকারী হবে। এই তৃতীয় মডিউলের পাঠগুলি "মানবতত্ত্ব" বিষয়ক একটি ভূমিকা সরূপ—সম্পূর্ণ নয়, তবে ভিত্তি গঠনের জন্য উপযুক্ত, যা আপনাকে ভবিষ্যতে আরও গভীর অধ্যয়নের জন্য প্রস্তুত করবে।
মানুষ নিজেকে জানার ক্ষেত্রে ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়—তার উৎস, গঠন, পরিচয়, জীবনের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য এসব বিষয় জানতে চায়। কিন্তু মানুষের সত্য জ্ঞান তার নিজের মধ্যে পাওয়া যায় না; এটি পাওয়া যায় বাইবেলে ঈশ্বর যা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে। তাই আপনি যদি মানুষের বিষয়ে গভীরতর বোঝাপড়া অর্জন করতে আগ্রহী হন, তবে এই পাঠসমূহ আপনার জন্য উপকারে আসবে। "মানবতত্ত্ব" বিষয়ক এই তৃতীয় মডিউলের পাঠগুলি একটি প্রাথমিক পরিচিতি প্রদান করে, যা পূর্ণাঙ্গ নয়, তবে ভবিষ্যতের আরও গভীর পাঠের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলে। আপনি নিশ্চয়ই মনে করবেন যে, প্রথম মডিউলে আমরা শিখেছিলাম যে, ঈশতত্ত্ব ব্যাপকভাবে বলতে গেলে ঈশ্বর-জ্ঞান এবং তিনি আমাদের কী বিশ্বাস করতে এবং কীভাবে চলতে বলেন—তার সবকিছু নিয়ে আলোচনা করে। আমরা সেখানে লক্ষ্য করেছিলাম, ঈশতত্ত্ব মূলত খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরে বাঁচার শিক্ষা—যা আমাদের চিন্তা ও জীবনের উভয় দিককে স্পর্শ করে। সেই প্রেক্ষাপটে, "মানবতত্ত্ব" হল শৃঙ্খলাবদ্ধ ঈশতত্ত্বের একটি অপরিহার্য অংশ। এই পাঠে আমরা শিখব—মানুষের প্রকৃতি, মানুষ যেভাবে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে, তার ইচ্ছার স্বাধীনতা, আদি/প্রথম পাপ, মানুষের সম্পূর্ণ দুর্নীতি এবং ঈশ্বর যেভাবে "চুক্তির মাধ্যমে" মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন—এসব বিষয়ে।